বাংলাদেশের প্রথম কসপ্লে
মিউজিক ভিডিও -২০১৪
মুত্তাকিন রশিদ আলভী ( ফ্ল্যাশ)
গত ১'লা এপ্রিল ধানমণ্ডির আবাহনি মাঠের সন্ধ্যাটি ছিল সম্পূর্ণভাবে চমকপ্রদ। নতুন কিছু ধারনা এবং স্বর্গীয় সূর্যাস্ত অনুষ্ঠানটিকে দিয়েছিল একটি দু্র্দান্ত রুপ। সমাজের সকল স্তরের মানুষকেই শুটিংটি সরাসরি উপভোগ করতে দেখা গিয়েছিল। সমগ্র মাঠজুড়েই ছিল ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশ এর ছড়াছড়ি ।
তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অনেক আকর্ষণীয় কসপ্লেয়ারদেরও দেখা মিলেছিল সেখানে যারা তাদের পছন্দের এনিমে চরিত্র অথবা কোনো কার্টুনের সুপার হিরোর কসপ্লে করেছিল। চূড়ান্ত শুটের আগে প্রত্যেকেই এমনকি কসপ্লেয়ারদেরকেও একাধিক বার প্রাকটিস করতে হয়েছিল। সত্যিই এটি ছিল সবার জন্য যথেষ্ট শ্রমসাধ্য। ফলস্বরূপ, শ্রমসাধ্যতা হারিয়ে গিয়েছিল আনন্দের মাঝে। বাতাসে ''চার ছক্কা হই হই' গানটি প্রতিধনিত হচ্ছিল, এবং এরই সাথে নাচিয়েরা তাদের দুর্দান্ত পারফমেন্স দেখাচ্ছিল গর্বের সাথে। সেখানে আসলেই ছোট বয়সের কিছু বাচ্চারা স্কেটিং করছিল যার কারনে সেদিনের সন্ধ্যাটিকে আরও ঝিকিমিকি দেখাচ্ছিল।
মেইজসিটি পূর্বে যেটি টিম ওটাকু ( বাংলাদেশের প্রথম এনিমে গ্রুপ যেটি এমএক্সভাই , শন্তরিক্স , স্যাডো নিরভানা, ডেভিল'স লাক , শহীদ ওয়াসিও, এবং শিনোবি কুন দ্বারা নির্মিত ) নামে পরিচিত ছিল, আয়োজন করেছিল প্রোগ্রামটির এবং এখানকার পারফরমাররাও এরই সদস্য। কস্টিউম, কোরিওগ্রাফি, পারফমান্স সবকিছুই এত চমৎকার ছিল যে আমাদের আনন্দের কোন সীমা ছিলনা। বিশেষকরে শুটিং এঁর শেষে ফ্রিস্টাইলের অনুমতি, মাঝে ব্যাটম্যান এর দ্বারা একটি সিক্স হিট, রবোটিক ড্যান্স মুভমেন্ট সবকিছুই যেন একটি চিত্ররূপ নিয়েছিলো।
যারা এই ইভেন্টটিকে সফলতা দিয়েছে তারা হল কোরিওগ্রাফার, ড্যান্সার, সিনেমাটরগ্রাফার , এডিটর এবং সবশেষে দর্শকবৃন্দ। কসপ্লে চরিত্র গুলোর ভেতর সন গকু, উনোহানা রেটসু, মার্শাল লি , শী হাল্ক , জেনারেল আলাদীন, ওয়ল্ভরিন, উরিউ মিনেন, টাইটান, সাইকো, ডুয়েলা ডেন্ট , ব্যাটম্যান, জোকার, উচিহা মাদারা, ডা রাইডেলার , ইলেক্ট্রো, ত্রাফাল্গার ল, কোনান, টাইগার, সাসোরি , কুরকো টেটসুয়া, হাতাকে কাকাশি, গারা, স্টর্ম এবং সবশেষে ফ্ল্যাশ এর নাম উল্লেখযোগ্য। সকলেই সমভাবে অনুষ্ঠানটি সফল হতে সহায়তা করেছে। কিন্তু আকিব জুনায়েদের (ডেভিল'স লাক) কঠোর পরিশ্রম, ব্যবস্থাপনা, এবং সুশীতল চিন্তাধারা অনুষ্ঠানটিকে উৎকর্ষতার চূড়ান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি, সামিয়া তাবাসসুম, আকিফ চৌধুরী, এবং নাভিদ আহমেদ ছিলেন অসাধারণ কোরিওগ্রাফার। এছাড়াও তানভির আমান এবং ইমারা সাকিন অনুষ্ঠানটি ভিডিও করতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছিল। পরে সাত্তার মোঃ ইমন এবং জিসান সবগুলো শুট একত্র করে এবং ভিডিওটিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে এডিট করে।
বিশেষ ধন্যবাদ - মাতবর টাওয়ার এবং আবাহনি মাঠের প্রশাসনকে মিউজিক ভিডিওটি তৈরিতে সহায়তা করার জন্য।
সত্যিই, এটি বাস্তবেই অনেক চমৎকার ছিল। যদি এটা কেউ না দেখে থাকেন, ভাব্বেন্না, আপনি ইউটিউবেও এটি পেতে পারেন এই লিঙ্ক এ http://www.youtube.com/watch?v=59EFPsZyqOc । দেখা যাক ভিডিওটি আমাদের দেশে কিরকম আবর্তনের সৃষ্টি করে। জয় হোক মেইজ সিটির যেখানে সকল এনিমে প্রেমিরা একত্র হয়েছে।
মুত্তাকিন রাশিদ আলভী
প্রতিনিধি, মেইজসিটি।
অলরাউন্ডার টিমের প্রতিষ্ঠাতা।
ধারনা কার্যকরী, সিম্ফনি, সিলেট।
Comments
Post a Comment